1. admin@dainikkhoborchitra.com : admin :
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১২:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কেশবপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারা কেশবপুরের পথ-প্রান্তর রাঙিয়ে তুলেছে রক্তরাঙা ফুল কৃষ্ণচূড়া কেশবপুরে অবৈধভাবে প্লেট ঝুলিয়ে জমি ও বাড়ির মালিকানা দাবী করে হয়রানীর অভিযোগ তীব্র তাপদাহে কেশবপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের উদ্যোগে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ। কেশবপুর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান , পুরুষ ও মহিলা ভাইস কে কি প্রতীক পেল কেশবপুরে আস্থা পল্লী উন্নয়ন সমবায় সমিতির অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত Doa and Iftar mahfil organized by Keshavpur Reporters Club ভূয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অপহরণ মামলার রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার-০৭। কেশবপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে অপহরণ মামলায় প্রাইভেট গাড়ীসহ ৩ জন আটক

চা চাষে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম অঞ্চল এখন পঞ্চগড়-

দৈনিক খবরচিত্র ডেস্ক
  • সময় : সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
  • ২১ বার পঠিত
সংবাদটি শেয়ার করুন:

সিলেট থেকে

বাংলাদেশের সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত এ জেলা হচ্ছে দেশের সংসদীয় আসনের দিক থেকেও ১ নম্বর। চা চাষেও দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম অঞ্চল হচ্ছে এই জেলা। তবে বর্তমানে পঞ্চগড় ছাড়াও ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলায় প্রতি বছর বাড়ছে চায়ের আবাদ। সদ্য সমাপ্ত (২০২৩) মৌসুমে ১২ হাজার ১৩২ দশমিক ১৮ একর সমতল জমির ৩০টি চা বাগান এবং ৮ হাজারেরও অধিক ক্ষুদ্রায়তনের বাগান থেকে চা উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ৭৯ লাখ ৪৭ হাজার ২৩০ কেজি। যা বিগত বছরের তুলনায় ১ লাখ ৬৫ হাজার ২২৬ কেজি বেশি। এই উৎপাদনে টানা তিনবারের মতো উৎপাদনে দ্বিতীয় অবস্থানে এ অঞ্চল।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে পঞ্চগড়ে বাংলাদেশ চা বোর্ডের আঞ্চলিক কার্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকর্তা কৃষিবিদ আমির হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, এ বছর এসব বাগান থেকে ৮ কোটি ৬১ লাখ ৪৬ হাজার ৭০৪ কেজি সবুজ কাঁচা চা পাতা উত্তোলন করা হয়। যা পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও লালমনিরহাটের চলমান ২৮টি কারখানায় প্রক্রিয়াজাত করে ১ কোটি ৭৯ লাখ ৪৭ হাজার ২৩০ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। আর এই উৎপাদন জাতীয় উৎপাদনের ১৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

চা বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, ২০২২ সালে এ অঞ্চলে চা আবাদের পরিমাণ ছিল ১২ হাজার ৭৯ দশমিক ০৬ একর। উৎপাদন হয় ১ কোটি ৭৭ লাখ ৫৯ হাজার ২২৬ কেজি। সেই তুলনায় গত বছরে আবাদ বেড়েছে ৫৩ দশমিক ১২ একর। আর উৎপাদন বেড়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ২২৬ কেজি।

সূত্র আরও জানিয়েছে, সিলেট অঞ্চলের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম চা উৎপাদন অঞ্চল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে পঞ্চগড়। পঞ্চগড়কে অনুসরণ করে চা চাষে এগিয়ে যাচ্ছে পার্শ্ববর্তী ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলা। একসময়ের পতিত গো-চারণ ভূমি এখন চায়ের সবুজ পাতায় ভরে উঠছে। আন্তর্জাতিক মানের চা উৎপাদন হওয়ায় দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এ অঞ্চলের চা যাচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারেও ।
চা-বাগানের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় চা প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা গড়ে উঠায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

চা বোর্ডের তথ্যমতে, উত্তরবঙ্গের ৫ জেলার মোট ১২ হাজার ১৩২ দশমিক ১৮ একর সমতল জমির চা আবাদের মধ্যে পঞ্চগড়ে রয়েছে ১০ হাজার ২৬৭ দশমিক ২৮ একর। এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ে ১ হাজার ৪৫৭ দশমিক ২৯ একর, লালমনিরহাটে ২৪৮ দশমিক ০২ একর, দিনাজপুরে ৮৯ একর এবং নীলফামারীতে ৭০ দশমিক ৫৯ একর আবাদ হয়েছে।

পঞ্চগড়স্থ বাংলাদেশ চা বোর্ডের আঞ্চলিক কার্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকর্তা আমির হোসেন বলেন, সমতল ভূমিতে চা চাষের জন্য পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলা সম্ভাবনাময়। ১৯৯৬ সালে সর্বপ্রথম পঞ্চগড়ে চা চাষের পরিকল্পপনা হাতে নেয়া হয় এবং ২০০০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষুদ্র পর্যায়ে চা চাষ শুরু হয়। বিগত বছরগুলোতে এ অঞ্চলে চা চাষ ও উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি বলেন, টানা তিনবারের মতো এ অঞ্চল চা উৎপাদনে দ্বিতীয় অবস্থানে। কিন্তু উৎপাদনের তুলনায় বাজারজাত পর্যাপ্ত না হওয়ায় ন্যায্য দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে চা চাষীরা। ফলে ক্ষুদ্র চাষিরাও কাঁচা পাতার দাম পাচ্ছেন না। ন্যায্য দাম এবং বাজারজাতে জটিলতা না হলে আবাদ এবং উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পেত।

তিনি আরও বলেন, চা চাষ সম্প্রসারণে চাষিদের বিভিন্ন সহায়তার মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করে স্বল্পমূল্যে উন্নত জাতের চারা সরবরাহ করা হচ্ছে। ‘ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুলের’ মাধ্যমে কর্মশালা হচ্ছে। চাষিদের সমস্যা সমাধানে ‘দুটি পাতা একটি কুঁড়ি’ নামে মোবাইল এপস চালু করা হয়েছে। এ ছাড়া আঞ্চলিক কার্যালয়ে একটি পোস্ট ম্যানেজমেন্ট ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে চাষিদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান, রোগবালাই ও পোকা দমনে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে।


সংবাদটি শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর