আব্দুস সালাম মুর্শেদী, কেশবপুর থেকে।
কেশবপুর উপজেলার আওয়ালগাতী গ্রামের চাষী আব্দুল লতিফ ড্রাগন ফল চাষ করে ব্যপক সফলতা লাভ করেছেন।তিনি দীর্ঘদিন যাবত প্রবাসে ছিলেন, দেশে এসে নিজেকে কৃষিভিত্তিক উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার নিমিত্তে ড্রাগন,কদবেল,লেবু সহ বিভিন্ন ধরনের ফল চাষ করছেন।তার মধ্যে ড্রাগন ফলে তিনি ব্যাপক মুনাফা অর্জন করেছেন বলে জানিয়েছেন।
চাষী আব্দুল লতিফ ৪২ শতাংশ জমিতে ওই ড্রাগন ফল চাষ করেন।তিনি জানান চারা রোপনের ৯ মাস পরেই তিনি ফল পেয়েছেন,যে ফল অত্যান্ত সুস্বাদু ও সুমিষ্ট। ফলগুলো দেখতেও অনেক সুন্দর।
আমাদের দেশে বিভিন্ন জাতের ড্রাগন ফলের চাষ হয়।বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সফলভাবে চাষ করার জন্য বাউ ড্রাগন ফল-১ (সাদা) ও বাউ ড্রাগন ফল-২ (লাল) খুব ভালো। এছাড়াও হলুদ ও লালচে ড্রাগন ফল চাষাবাদ করা যেতে পারে। দেশের সব হর্টিকালচার সেন্টার ও বড় ধরনের নার্সারীতে ড্রাগন ফলের চারা পাওয়া যাবে। বীজ দিয়ে চারা তৈরী করা গেলেও কাটিং করে শাখা কলমের মাধ্যমে চারা তৈরী করা উত্তম।
আব্দুল লতিফ বলেন কেশবপুর উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তিনি প্রণোদোনাসরূপ দুটি স্প্রে মেশিন ও ভর্তুকীর সার পান যেটা তার চাষপদ্ধতিকে আরও সহজতর করেছে।এমনকি তাকে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সাতদিনের একটি প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করে দেন।
Leave a Reply