1. admin@dainikkhoborchitra.com : admin :
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কেশবপুরের পথ-প্রান্তর রাঙিয়ে তুলেছে রক্তরাঙা ফুল কৃষ্ণচূড়া কেশবপুরে অবৈধভাবে প্লেট ঝুলিয়ে জমি ও বাড়ির মালিকানা দাবী করে হয়রানীর অভিযোগ তীব্র তাপদাহে কেশবপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের উদ্যোগে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ। কেশবপুর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান , পুরুষ ও মহিলা ভাইস কে কি প্রতীক পেল কেশবপুরে আস্থা পল্লী উন্নয়ন সমবায় সমিতির অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত Doa and Iftar mahfil organized by Keshavpur Reporters Club ভূয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অপহরণ মামলার রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার-০৭। কেশবপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে অপহরণ মামলায় প্রাইভেট গাড়ীসহ ৩ জন আটক অনুশিখা বাঁচতে চায় / একটি মানবিক সাহায্যের আবেদন

মোংলায় জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রন সপ্তাহ’র উদ্ভোধন

দৈনিক খবরচিত্র ডেস্ক
  • সময় : বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৩
  • ৯৪ বার পঠিত
সংবাদটি শেয়ার করুন:

আলী আজীম, মোংলা (বাগেরহাট):

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে রোববার ২২ জানুয়ারী থেকে ২৭তম জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ’র যথাযথ মর্যাদা পালন ও শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে চাঁদপাই মেছেরশাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এই কৃমি সপ্তাহ-২০২৩ এর শুভ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার। আগামী ৩১ জানুয়ারী পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, ২০২৫ সালের মধ্যে দেশ থেকে কৃমি নির্মূলের লক্ষ্যে ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশুকে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে। এ লক্ষে প্রাথমিক (৫-১১ বছর) এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের (১২-১৬ বছর) সকল পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (স্কুলগামী, স্কুল বহির্ভূত, স্কুল থেকে ঝরে পড়া, পথ শিশু, কর্মজীবি শিশু) উপস্থিতির মাধ্যমে ১ ডোজ কৃমিনাশক ওষুধ (মেবেন্ডাজল বা ভারমক্স ৫০০ মি:গ্রা:) ভরা পেটে সেবন করানো হবে।

এব্যাপারে ডা. মোঃ শাহিন জানান, কৃমি মানুষের পেটে পরজীবী হিসেবে বাস করে এবং খাবারের পুষ্টিটুকু খেয়ে ফেলে, যার দরুন শিশুরাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুষ্টিহীনতায় ভোগে। কৃমি মানুষের অন্ত্র থেকে রক্ত শোষণ করে। ফলে শিশুরা রক্তশূন্যতায় ভোগে। যার দরুন বদহজম, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি হয়। এতে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির ব্যাঘাত ঘটে। ফলে শিখন ক্ষমতা হ্রাস পায় ও শ্রেণিকক্ষে সক্রিয় থাকতে বাধাগ্রস্ত হয়।

তিনি আরও জানান, কৃমি এপেন্ডিসাইটিস এবং অন্ত্রের অন্যান্য জটিলতাও সৃষ্টি করে, যাতে অপারেশন প্রয়োজন হতে পারে। কৃমির অতিশয় সংক্রমণ মৃত্যুর কারণও হতে পারে।

কৃমি নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে ডা. মোঃ শাহিন বলেন, পরিবারের সবাই একত্রে বছরে কমপক্ষে দুইবার (৬ মাস পর পর) কৃমির ওষুধ সেবন করতে হবে। খালি পায়ে চলাফেরা না করা এবং পায়খানা ব্যবহারের সময় স্যান্ডেল পরা। পায়খানার পর সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করা। হাতের নখ ছোট রাখা আর এজন্য সপ্তাহে একবার নখ কাটা উচিত। পাশাপাশি খাদ্য দ্রব্য ঢেকে রাখা এবং খোলা বা অপরিচ্ছন্ন খাবার না খাওয়া, ফল-মূল খাওয়ার আগে তা নিরাপদ পানি দ্বারা ধোয়া এবং প্রতিবার খাবার গ্রহণের পূর্বে হাত সাবান দিয়ে পরিষ্কার করা প্রয়োজন।

জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ উদ্বোধনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন- মোংলা উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা দীপংকর দাশ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ শাহিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসিফ ইকবাল, অফিসার্স ইনচার্জ মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।

## আলী আজীম, মোংলা
০১৯২৫২৯৬৮২২
২৬/০১/২৩ইং


সংবাদটি শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর