1. admin@dainikkhoborchitra.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০১:০৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কেশবপুরে অবৈধভাবে প্লেট ঝুলিয়ে জমি ও বাড়ির মালিকানা দাবী করে হয়রানীর অভিযোগ তীব্র তাপদাহে কেশবপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের উদ্যোগে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ। কেশবপুর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান , পুরুষ ও মহিলা ভাইস কে কি প্রতীক পেল কেশবপুরে আস্থা পল্লী উন্নয়ন সমবায় সমিতির অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত Doa and Iftar mahfil organized by Keshavpur Reporters Club ভূয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অপহরণ মামলার রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার-০৭। কেশবপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে অপহরণ মামলায় প্রাইভেট গাড়ীসহ ৩ জন আটক অনুশিখা বাঁচতে চায় / একটি মানবিক সাহায্যের আবেদন চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডিবি পুলিশের অভিযানে নাচোল থেকে ভুয়া সচিব গ্রেপ্তার

কেশবপুরের পাঁজিয়াই ৫ দিনব্যাপী একুশের বইমেলা উদ্বোধন

দৈনিক খবরচিত্র ডেস্ক
  • সময় : বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ৪৫ বার পঠিত
সংবাদটি শেয়ার করুন:

রনি হোসেন,(যশোর)

যশোর-৬ কেশবপুর সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার বলেছেন, ‘বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে ভাষা আন্দোলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তানি শাসকরা যখন আমাদের ওপর একটি বিজাতীয় ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলো এবং ১৯৪৭ সালে করাচিতে একটি শিক্ষা সম্মেলন হয়, সেখানেই ঘোষণা হয়েছিল যে উর্দু হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। কিন্তু পাকিস্তান নামের যে দেশটি হয়েছিল তার ৫৬ ভাগের বেশি ছিলাম আমরা বাঙালি ও বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। এই ঘোষণাটা পূর্ববঙ্গে আসার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা প্রতিবাদ জানায়। ওই সময় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে গিয়ে তারা প্রতিবাদ করে। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রলীগ নামের সংগঠন গড়ে তোলেন এবং তাঁরই প্রস্তাবে এই ভাষা আন্দোলনের যাত্রা শুরু হয়েছিল।’
কেশবপুরের পাঁজিয়ায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ৫ দিনব্যাপী একুশের বইমেলা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি একথা বলেন।
এমপি শাহীন চাকলাদার আরো বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর এই সংগ্রামের মধ্য দিয়েই মূলত আমাদের এই স্বাধীনতা অর্জন। যারা আমাদের ভাষার ওপর আঘাত করে, তাদের বিরুদ্ধেই তিনি প্রতিবাদ শুরু করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। প্রথম তিনি অন্যান্য ছাত্রদের সংগঠন এবং তমদ্দুন মজলিশকে নিয়ে একটি সভা করেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় ভাষা সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলা হবে। সেই সভা থেকেই সিদ্ধান্ত হয় একটা তারিখ ঘোষণা করে আন্দোলন শুরু হবে। এটা ছিল ফেব্রুয়ারির ২ তারিখ। ১১ মার্চ ধর্মঘট ডাকা হয়। ধর্মঘট করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুসহ অনেক নেতা গ্রেফতার হন। আন্দোলনের ফলে শাসকরা কিছু দাবি মেনে নিয়ে ১৫ মার্চ অনেককে ছেড়ে দেয়। ১৬ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় সভা হয়, সেখানে সভাপতিত্ব করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ভাষা সংগ্রাম যে অব্যাহত থাকবে এই ঘোষণা ও ছাত্রদের ওপর যে গুলি হয় তার তদন্ত দাবি করা হয় সেখানে।’ ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে পাকিস্তানের গোয়েন্দাদের রিপোর্ট বই আকারে প্রকাশ করছেন তিনি। সেখানে এ সংক্রান্ত আরও তথ্য পাওয়া যাবে। ‘১৯৫২ সালে সালাম, বরকত, রফিকসহ অনেকেই রক্ত দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপরও শাসকরা বাংলাকে মাতৃভাষা করেনি। ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার এসেই কিন্তু বাংলাকে এই অঞ্চলের রাষ্ট্রভাষা করে। ভাষা শহীদরা রক্ত দিয়ে শুধু মাতৃভাষায় কথা বলা নয়, আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পথ তৈরি করে দিয়েছিলেন।’“১৯৭১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার পর বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘১৯৫২ সালের আন্দোলন কেবল ভাষা আন্দোলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। এটা ছিল সামজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন।’ এখানে মূলত আমাদের মৌলক অধিকার আদায়ের সংগ্রামের কথা বলা হয়েছে। কাজেই ভাষা আন্দোলন থেকে বঙ্গবন্ধু একটি লক্ষ্য স্থির করে আন্দোলন করে যান এবং আমরা একটি স্বাধীন দেশ অর্জন করি।”
এমপি শাহিন চাকাদার আরো বলেন, ‘১৯৯৬ সালে কানাডাপ্রবাসী সালাম-রফিক ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস করার প্রস্তাব করেন ইউনেস্কোতে। কিন্তু জাতিসংঘের কোনও সদস্য রাষ্ট্রের এটা প্রস্তাব করার বলে তারা। এটা জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নিলেন জাতিসংঘে প্রস্তাব দেওয়ার। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো এই স্বীকৃতি দেয়। ২০০০ সাল থেকে সব দেশে এটি পালিত হচ্ছে। সেই থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি আমাদেরই।’
পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বইমেলা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জসীম উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও পাঁজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উজ্জ্বল ব্যানার্জীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমীন, কেশবপুর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রফিকুল ইসলাম, পাঁজিয়া ডিগ্রি কলেজর অধ্যক্ষ রুহুল আমীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মফিজুর রহমান মফিজ, পাঁজিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল।
এছাড়াও অন্যন্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জিয়াউল হাসান হ্যাপী, সদস্য রেজাউল ইসলাম, কেশবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস আর সাঈদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গৌতম রায়, কোষাধ্যক্ষ স্বপন কুমার মুখার্জি, সহ দপ্তর সম্পাদক মনোজ তরফদার, সদস্য শেখর রঞ্জন দাস, সুফলাকাটি ইউপির চেয়ারম্যান এস এম মনজুর রহমান, হাসানপুর ইউপি চেয়ারম্যান তৌহিদুজ্জামান, উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক সরদার মনসুর আলী, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক বিএম শহিদুজ্জামান শহীদ, যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সাঈদ লাভলু, পৌর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক আবুল কালাম আজাদ, পাঁজিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ আল বাহার, কেশবপুর সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অলিয়ার রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আলিম, পাঁজিয়া সমাজ কল্যাণ সংস্থার পরিচালক বাবুর আলী গোলদার, রিয়াজ লিটন পাঁজিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সুবোল দেবনাথ, আলী আব্বাস, যুগ্ম সম্পাদক মাস্টার আব্দুল হামিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মাস্টার প্রভাত কুমার কুন্ডু, বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিতোষ দত্ত, পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শহিদুল্লাহ সরদার, প্রাক্তন ইউপি সদস্য শম্ভুনাথ বসু, সমাজকর্মী মাসুদা বেগম বিউটি প্রমূখ।
আলোচনা সভা শেষে স্থানীয় ও বহিরাগত শিল্পীদের সমন্বয়ে মনোজ্ঞ সংস্কৃতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।


সংবাদটি শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর