1. admin@dainikkhoborchitra.com : admin :
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ১২:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কেশবপুরের পথ-প্রান্তর রাঙিয়ে তুলেছে রক্তরাঙা ফুল কৃষ্ণচূড়া কেশবপুরে অবৈধভাবে প্লেট ঝুলিয়ে জমি ও বাড়ির মালিকানা দাবী করে হয়রানীর অভিযোগ তীব্র তাপদাহে কেশবপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের উদ্যোগে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ। কেশবপুর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান , পুরুষ ও মহিলা ভাইস কে কি প্রতীক পেল কেশবপুরে আস্থা পল্লী উন্নয়ন সমবায় সমিতির অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত Doa and Iftar mahfil organized by Keshavpur Reporters Club ভূয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অপহরণ মামলার রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার-০৭। কেশবপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে অপহরণ মামলায় প্রাইভেট গাড়ীসহ ৩ জন আটক অনুশিখা বাঁচতে চায় / একটি মানবিক সাহায্যের আবেদন

ব্যাগিং পদ্ধতিতে বাঘায় রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন

দৈনিক খবরচিত্র ডেস্ক
  • সময় : বুধবার, ১০ মে, ২০২৩
  • ২৯ বার পঠিত
সংবাদটি শেয়ার করুন:

ব্যাগিং পদ্ধতিতে বাঘায় রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন

আবুল হাশেম,
রাজশাহী বিভাগীয় প্রধানঃ

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আমের রয়েছে বিশ্বব্যাপী সুনাম। প্রতিবছর বাঘা উপজেলা থেকে বিদেশে আম রপ্তানি হয়। রাজশাহী জেলার ১৮ হাজার ৫৭০ হেক্টর আম বাগানের মধ্যে বাঘা উপজেলাতেই রয়েছে প্রায় ৮ হাজার ৫৭০ হেক্টর আম বাগান। উৎপাদনের তুলনায় রপ্তানি কিন্তু খুবই সীমিত পর্যায়ের হয়। বিদেশে আম রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাঘা উপজেলা কৃষি অফিস ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে নিরাপদ আম উৎপাদন কার্যক্রন হাতে নিয়েছে। এ লক্ষ্যে চুক্তিবদ্ধ চাষীদের ” রফতানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্প” এর আওতায় প্রদর্শনীসহ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। প্রদর্শনীভুক্ত চাষীদের উত্তম কৃষি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি, নিরাপদ ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি, পরিচ্ছন্ন চাষাবাদের লক্ষ্যে প্রুনিং, অংগ ছাঁটাই, মৃত্তিকা পরীক্ষার মাধ্যমে সুষম মাত্রার সার প্রয়োগ, বালাইনাশকে যৌক্তিক ব্যবহার বিষয়ক হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ নিয়মিত বাগান মনিটরিং করে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করছেন।

বাঘা উপজেলার কলিগ্রামের আম চাষী মোঃ শফিকুল ইসলাম ছানা জানান, বিদেশে আম রপ্তানির জন্য ইতোমধ্যেই হিমসাগর জাতের আমে ব্যাগিং করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আম্রপালি,ফজলি, আশ্বিনা জাতের আমেও ব্যাগিং করা হবে। নিরাপদ আম উৎপাদনে ব্যাগিং অত্যন্ত কার্যকরী একটি পদ্ধতি। এ পদ্ধতি অনুসরণ করলে বালাইনাশক ব্যবহার হ্রাস পায় এবং আমটাও সুন্দর সাইজ ও কালারের হয়। সবচেয়ে বড় কথা আমটা নিরাপদ হয়। আর বিদেশে আম রপ্তানির শর্তই হচ্ছে নিরাপদ আম হতে হবে, যা শুধুমাত্র ব্যাগিং পদ্ধতিতেই সম্ভব।

এ ব্যাপারে বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, রাজশাহীকে আমের জন্য বিখ্যাত বলা হলেও বাঘা উপজেলা আম প্রধান অঞ্চল হিসাবে খ্যাত। জেলার নয়টি উপজেলার মধ্যে আটটিতে যে পরিমাণ আম উৎপাদন হয়, তার চেয়েও বেশি আম উৎপাদন হয় বাঘা উপজেলায়। প্রায় ৮-১০ বছর ধরে এ উপজেলার আম দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। ইতালি, হংকং, নেদারল্যান্ড, থাইল্যান্ড ও রাশিয়াসহ বেশ কিছু দেশে এ উপজেলার আম রপ্তানি করা হয়। গত বছর বাঘা উপজেলা থেকে ৩৬ লাখ টাকার আম রপ্তানি করা হয়েছে। যদিও টাকার অংকে কম। কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্যে রপ্তানির কার্যক্রমটা অব্যহত রাখা। এ বছর ২০০ কোটি টাকার আম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা কৃষকদের ফ্রুট ব্যাগিং করতে উৎসাহ দিচ্ছি। তারা ফ্রুট ব্যাগিং করছেন। এখন পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ আম ফ্রুট ব্যাগিং করা হয়েছে। আরও ৮ লাখ আম ফ্রুট ব্যাগিং করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাষিদের আম উৎপাদন ও রপ্তানিতে উৎসাহিত করছি। প্রতি বছর এই ধরনের চাষির সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে ৩৫ থেকে ৪০ জন এই পদ্ধতি অনুসরণ করে আম উৎপাদন করছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল পর্যন্ত বাঘা উপজেলা থেকে ইতালি, হংকং ও ইংল্যান্ড এ মোট ১১৪০ কেজি আম রপ্তানি হয়েছে, যা সবগুলোই স্থানীয় গুটি জাতের চোষা আম। ব্যাগিং পদ্ধতিতে হিমসাগর আম এ মাসের ২৫ তারিখ থেকে শুরু হবে বলে স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানান।


সংবাদটি শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর