পরেশ দেবনাথ, মঙ্গলকোট (কেশবপুর)ঃ
এই বছর দোলযাত্রা পড়েছে ৭ মার্চ (বাংলায় ২২ ফাল্গুন) মঙ্গলবার। এই দিনটিকে বসন্ত উৎসবও বলা হয়। হোলি সাধারণত দোলের পরের দিন পালিত হয়। এবছর হোলি পড়েছে বুধবার (৮ মার্চ)। ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে কেশবপুরের মঙ্গলকোট, বসুন্তিয়া, আলতাপোল, পাথরাসহ বিভিন্ন এলাকায় বুধবার ভোর হতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শ্রীকৃষ্ণের দোলযাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাধা-কৃষ্ণের পূজার্চনা ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে উৎসব শুরু হয়। দোল উৎসবে একে অপরকে রং এবং আবির মাখিয়ে, মিষ্টি মুখ করিয়ে শুভেচ্ছা ও ভালবাসা বিনিময় করার উৎসব দোল বা বসন্ত উৎসব। বসন্ত উৎসব বাংলার দোল এবং অন্যান্য প্রদেশের হোলি নামে পরিচিত।
কেশবপুরের মঙ্গলকোট ইউনিয়নের বসুন্তিয়া সার্বজনীন দোলখোলা মন্দিরে দোল পূজা ও আরতি করেন তপন কুমার চক্রবর্তী। তিনি জানান, এই উৎসবের ধর্মীয় তাৎপর্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই উৎসব কখনও শ্রীকৃষ্ণ এবং রাধিকা কেন্দ্রিক, কখনও বা বিষ্ণু ভক্ত প্রহ্লাদ কেন্দ্রিক আবার কখনও ভগবান শিব এবং পার্বতী কেন্দ্রিক। এই মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার দেবনাথ ও কোষাধ্যক্ষ মিন্টু রায় জানান, এখানে ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে দোল পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এখানে অনেক ভক্তের আগমন ঘটে।
স্থানীয় ভক্তরা দোল যাত্রায় বাড়ি বাড়ি যেয়ে আবির বিতরণ করেন। সকাল হতে না হতে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ছাত্র-ছাত্রী, যুবক-যুবতীদের আবির ও রং খেলতে দেখা যায় । দোল পূর্ণিমা বা দোল যাত্রা সনাতন হিন্দু ধর্মানুসারীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। দোল উৎসবের অপর নাম বসন্তোৎসব। ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দোলযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় । দোল উৎসবের কারণে ফাল্গুনী পূর্ণিমাকে দোলপূর্ণিমা বলা হয়। আবার দোল পূর্ণিমা তিথিতেই চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্ম বলে একে গৌরপূর্ণিমা নামেও অভিহিত করা হয়। বাঙ্গালি সমাজে দোলযাত্রাকে বসন্তের আগমনী বার্তা হিসেবে বিবেচনা করা হয় । দোল বা হোলি একই রকম মনে হলেও এ দুটি মূলত আলাদা অনুষ্ঠান।
ছবিঃ
১০/০৩/২৩
Leave a Reply