1. admin@dainikkhoborchitra.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৮:০১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কেশবপুরে অবৈধভাবে প্লেট ঝুলিয়ে জমি ও বাড়ির মালিকানা দাবী করে হয়রানীর অভিযোগ তীব্র তাপদাহে কেশবপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের উদ্যোগে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ। কেশবপুর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান , পুরুষ ও মহিলা ভাইস কে কি প্রতীক পেল কেশবপুরে আস্থা পল্লী উন্নয়ন সমবায় সমিতির অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত Doa and Iftar mahfil organized by Keshavpur Reporters Club ভূয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অপহরণ মামলার রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার-০৭। কেশবপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে অপহরণ মামলায় প্রাইভেট গাড়ীসহ ৩ জন আটক অনুশিখা বাঁচতে চায় / একটি মানবিক সাহায্যের আবেদন চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডিবি পুলিশের অভিযানে নাচোল থেকে ভুয়া সচিব গ্রেপ্তার

কেশবপুরে রাতের আকাশে উড়ছে নানা রঙ্গের ঘুড়ি

দৈনিক খবরচিত্র ডেস্ক
  • সময় : সোমবার, ৫ জুন, ২০২৩
  • ৫৬ বার পঠিত
সংবাদটি শেয়ার করুন:

কেশবপুরে রাতের আকাশে উড়ছে নানা রঙ্গের ঘুড়ি

রনি হোসেন, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি

যশোরের কেশবপুর উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামে গ্রামবাংলাার চিরায়ত ঘুড়ি নিয়ে মেতে ওঠার দৃশ্য চোখে পড়েছে। আর ঘুড়ি ওড়ানোর মজা নিচ্ছেন বিভিন্ন বয়সের মানুষ। প্রতিটি রাতেই উপজেলার গ্রামবাংলার ঐতিহ্য ও বিনোদন হিসেবে সব বয়সেরই মানুষ ঘুড়ি উড়িয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির দাপটে ঘুড়ি উড়ানোর চল নেই বললেই চলে। ব্যস্ততার জাঁতাকলে পিষ্ট নাগরিক জীবনে বাড়ির ছাদেও ঘুড়ি উড়ানোর প্রবণতা কমেছে। কিন্তু বছরের এই সময়ে প্রতিদিন বিকেল ও রাতে ঘুড়ি ওড়ানোর রঙিন উৎসবে মেতে ওঠে শিশু কিশোরা। প্রতিটি ঘুড়ির সঙ্গে যেন উড়ে বেড়ায় তাদের উচ্ছ্বল মনও।

উপজেলার বেলকাটি গ্রামের রায়হান,রনি,বাবুল,রাকিবুল, রকি,শিমুল,মফিজুর তারা জানায়, বর্তমান সময়ে অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে সময় পার করা বড়ই মুশকিল, দিনের বেলায় যেমন-তেমন রাতের বেলায় বিদ্যুৎ না থাকায় তীব্র গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ। তাই বাড়িতে বসে বসে আর পারা যাচ্ছে না। সমায়টা পার করতে হবে আর কী। আর ঘুড়ি ওড়ানোর মজাটাই আলাদা। সেজন্য আমরা বিভিন্ন প্রকার রঙের কাগজ দিয়ে ঘুড়ি বানিয়ে রাতের বেলায় উড়িয়ে সময় পার করছি। তাছাড়া প্রতি বছরই রাতে আমরা ঘুড়ি উড়িয়ে থাকি তবে এ বছর এই সময়ে বেশি উড়াতেছি। যখন নানা রঙের ঘুড়ি আকাশে একসাথে ওড়ে তখন এটা দেখার মজাই আলাদা। ঘুড়ির সাথে সাথে যেন আমাদের মনটাও খোলা আকাশে উড়ছে।

ঘুড়ি ওড়ানোর দৃশ্য তুলে ধরে উপজেলার পাঁজিয়া গ্রামের মশিয়ার রহমান জানান, প্রতিদিন বিকেলে নানা বয়সের মানুষ নানা রঙের ঘুড়ি ওড়ায়। আর ঘুড়ি ওড়ানোর মজাই আলাদা। আমরা সবাই মিলে ঘুড়ি উড়াই। তিনি আরো জানান, ঘুড়ি ওড়ানো বাঙালির প্রাচীন ঐতিহ্য। বর্তমান সময়ে মোবাইল ব্যবহারের কারণে হারিয়ে যাচ্ছে এ উৎসব। তবে নির্মল আনন্দের বার্তা নিয়ে এখনো গ্রামবাংলায় টিকে রয়েছে ঘুড়ি ওড়ানো। গ্রামবাংলার এই ঘুড়ি উৎসব টিকে থাকুক সব সময়।

সাতবাড়িয়া গ্রামের কলেজ ছাত্র বাপ্পি হোসেন বলেন, প্রতিদিন বিকালে ঘুড়ি উড়িয়ে থাকি, আর রাতের বেলায় ঘুড়িটি খোলা আকাশে উড়িয়ে বাড়িতে চলে আসি। ভোর বেলায় আবার মাঠে গিয়ে ঘুড়ি নামিয়ে রাখি। আসলে রাতের বেলায় ঘুড়ি উড়ানোর মজাই আলাদা। এটা সুধু গ্রামবাংলার ছেলেরাই বুঝবে।


সংবাদটি শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর